শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
Title :
ভোট না দিলে রড গরম করে সোজা করা হবে> ৭১বার্তা পীরগাছায় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময়> ৭১বার্তা কাঠকচুতে কৃষক আজাদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন > ৭১বার্তা রংপুরে ছয় বছরের শিশু ধর্ষিত, কিশোর গ্রেপ্তার> ৭১বার্তা রংপুরে ছাত্র হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড > ৭১বার্তা ঘগোয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৩ শিক্ষকের ১৪ পরীক্ষার্থী,তবুও শতভাগ ফেল> ৭১বার্তা জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহে সুন্দরগঞ্জে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ > ৭১বার্তা সুন্দরগঞ্জে ৭টি রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন> ৭১বার্তা বেরোবিতে সাইবার ক্রাইম ও মাদকাসক্ত রোধে সেমিনার অনুষ্ঠিত> ৭১বার্তা বেরোবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ডিন> ৭১বার্তা

বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে,বললেন সিইসি – ৭১বার্তা

মোস্তাফিজার বাবলু
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১০৮ বার পঠিত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। বিভিন্ন ছোট-খাটো দল নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা বিএনপির সমকক্ষ নয়।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) প্রকাশিত বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দুটো দল পাঁচটা দল, দশটা দল ছোট-খাট দল বাংলাদেশের বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে এটা অনস্বীকার্য যে মূল বিরোধী দল যে বিএনপি তাদের সমকক্ষ ওরা নয়। এটা আমরা অস্বীকার করি না বা কেউ অস্বীকার করবে না।

তিনি বলেন, ওই দলটা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে একটা অনিশ্চয়তা বা একটা শঙ্কা একটা অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সিইসি মনে করেন, নির্বাচন যদি কোনো সংঘাত বা সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা ‘খুশি হবেন’ বটে, কিন্তু গণতান্ত্রিক চেতনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচন ‘অসম্পূর্ণ’ থেকে যাবে।

তিনি জানান, নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরির জন্য আগে থেকেই প্রশাসনে রদবদলের কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রশাসনে রদবদল করলেই যে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে সে নিশ্চয়তা নেই। তবে নির্বাচনে অংশ নেবার পর বিরোধী দল যদি প্রশাসনে রদবদলের কথা বলে তাহলে সেটি বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।

কাজী হাবিবুল বলেন, আমরা এটা-সেটা রদবদল করলাম, যেটা কখনো হয়নি। তারপরও ওনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন না, কাজে সেটা খুব অর্থবহ প্রক্রিয়া হবে বলে আমি মনে করি না।

দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন সাড়া পায়নি জানিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, দুবার রিফিউজড হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমি ব্যক্তিগত ডিও লেটার দিয়ে শুধুমাত্র ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নয়, তাদের সহমর্মী যে দলগুলো, যারা নির্বাচন বর্জন করছেন, তাদের যে প্রধান তাদেরকেও চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের রুটিন অনুযায়ী অনেকগুলো কাজ আছে। রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া।

‘তারা যদি নমিনেশন সাবমিট করেন, তাহলে তো অংশগ্রহণমূলক হয়ে গেল। তখন আমাদের পক্ষে আলাদা করে আহ্বান জানানো, মিটিং করা ওই সময়টুকু আমাদের হবে না। কিন্তু ওনাদের মধ্যে যদি কোনোরকম সংলাপ হয়ে থাকে প্রকাশ্যে বা গোপনে যার অধীনে ওনারা যদি সম্মত হন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে. ওনারা যদি নমিনেশন সাবমিট করেন তাহলে আমরা বুঝে গেলাম যে ওনারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং আমরা অত্যন্ত খুশী হবো সেক্ষেত্রে,’ যোগ করেন কাজী হাবিবুল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সংবিধান এবং গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন প্রস্তুত জানিয়ে কাজী হাবিবুল বলেন, আরপিওতে যেভাবে নির্দেশনা রয়েছে, সেভাবে আমরা সোজা এগিয়ে যাচ্ছি। ডানে বামে তেমন তাকাচ্ছি না। আমাদের প্রস্তুতি আপ টু-ডেট আছে।

তিনি বলেন, একটা সংকট, অনাস্থা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে খুব মসৃণ ওয়েতে দেশ আগাচ্ছে নির্বাচনের দিকে সেটা বলা যাবে না। তবে আমাদের এখনো প্রত্যাশা মাঝে মাঝে দেখছি যে সিভিল সোসাইটি একটু উদ্যোগী হয়ে উঠেছে যে নির্বাচনটাকে ইনক্লুসিভ করতে।

সিইসি মনে করেন, নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ এবং ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক’ হওয়া দুটি ভিন্ন বিষয়। নির্বাচন ‘অন্তভূর্ক্তিমূলক’ না হলেও সেটি ‘অংশগ্রহণমূলক’ হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সবসময় ‘অংশগ্রহণমূলক’ এবং ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ – দুটোই চান নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

‘অংশগ্রহণ-মূলকের এখন দুটো অর্থ দাঁড়িয়ে গেছে। একটি হচ্ছে ব্যাপক জনগণ যদি নির্বাচন কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক। আবার আরেকটি বক্তব্য হচ্ছে, সকল দল অংশগ্রহণ করলো। আবার ওটার দিকে ইংলিশটা হচ্ছে ‘ইনক্লুসিভ’ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক,’ যোগ করে সিইসি এক্ষেত্রে সমঝোতা, রাজনৈতিক সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

তিনি বলেন, একটা দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, মাঠে তার ভিন্ন প্ল্যান থাকতে পারে। ভিন্ন ধরনের কৌশল থাকতে পারে। তাদের প্ল্যান বা কৌশলকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।

কাজী আউয়াল বলেন, কিন্তু আমরা আমাদের নৈতিক অবস্থান থেকে সকল দলকে বারংবার আহ্বান করেছি নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হলে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়।

দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে।

সিইসি বলেন, যেটা আপনি বলেছেন, এটা হচ্ছে পলিটিকাল লিটারেচার বা পলিটিকাল ফিল্ডের কথা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কি হবে না। সে বিষয়ে আমরা কোনোরকম মন্তব্য করব না। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2023 71barta.com
Design & Development BY Hostitbd.Com