আল্লাহ এখন আমার বাড়ি-গাড়ি সব দিয়েছেন।
কেউই যেনো আর্থিক সংকটের কারণে পড়া- লেখা থেকে ঝড়িয়ে না পরে। এজন্য কাজ করতে চাই। কেননা, আমি নিজেই অর্থের অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি।
সোমবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর নূরপুরের নিজ বাস ভবনে দু’ নয়নে ছল ছল জলে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কথাগুলো বলেন, রংপুর-৩ আসনের তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রাণী।
তিনি নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী, জ্ঞানগৃহ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি এবং রংপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।
ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে রাণী বলেন, বাবা ১১মাস আগে মারা গেছে। মা জুলেখা বেগম জীবিত। একমাত্র বড় ভাই জিয়ারুল ইসলাম জিন্না ছাড়া আপন বলতে আর কেউই নেই। এজন্য আমার জীবনের কোনো পিছু টানও নেই।
রাণী আরও বলেন, অভাবের সংসারে মা কখনো পিঠা বিক্রি করতেন। আবার কখনো অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করতেন। এভাবে আমাদের বেড়ে ওঠা।
নেতৃত্ব সংকট, ধর্ম,বর্ণ,জাত-পাত নির্বিশেষে মানবতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রাণী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের ৩৯২জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৫০জন কে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ৩০জন কে ভিক্ষা বৃত্তি থেকে বেরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রুপান্তর নামক সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করছেন ব্লক ও হস্তশিল্পে। ১১জনকে কারুপণ্যে চাকুরী দেওয়া হয়েছে।
রংপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ তাকে কাজ করার সুযোগ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সু-নিশ্চিত করবেন বলে তিনি মনে করেন।