হেমন্তের শুরুতেই উত্তরাঞ্চল জুড়ে শীতের হাতছানিতে কম্বল-কাঁথা বের করছে গৃহবধূঁরা। সূর্য্য পশ্চিমাকাশে যখন অস্ত যাওয়ার পর্যায়ে। ঠিক সেই মহূর্তে কুয়াশায় ঢাকতে শুরু করে উত্তরের জনপদ। শীতের শির শির আমেজে শরীর বুঝতে পারে শীতের আগমনী বার্তা। দিগন্ত জুড়ে ফসলের ডগায় শিশির কনা মুক্তোর দানার মতো জ্বল জ্বল করে সূর্য্য উদয়ের আগে।
রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়, প্রেসক্লাব চত্বর, সিটি বাজার,সাতমাথা বাজার,মাহিগঞ্জ, টার্মিনাল,সিও বাজার সহ গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজর গুলোতেও শীতের পিঠা-পুলি বিক্রয় করতে দেখা যায় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের। সেখানে চড়া মূল্যে ক্রেতাদের ভিরও লক্ষ্যণীয়। শীতের ভাপা পিঠার কদর বিশেষ করে বেড়েই চলেছে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউপির আরাজি প্রতাব বিষু গ্রামের আইয়ুব আলী, মিঠাপুকুর উপজেলার বলদিপুকুর গ্রামের কায়েস আলী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউপির চর চরিতাবাড়ী গ্রামের শরফ উদ্দিন,কুড়িগ্রামের চিলমারীর মাচাঁবান্দা গ্রামের ছামিউল এ প্রতিবেদককে জানান, শীতকাল না আসতেই হামাক ঠান্ডা নাগে বাহে। রাইতোত খ্যাতা গাদ দিয়ে ঘুমাই।
দিনাজপুরের চিরির বন্দরের বিন্যাকুড়ি এলাকার নূর মোহাম্মদ জয় জানান, শীতকালীন সব্জি চাষাবাদ করছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। বেগুন, ফুলকফি,বাঁধা কপি সহ শাক লাগিয়েছি। দামও ভালো পাবেন বলে এই চাষী জানালেন। গঙ্গাচড়ার চর ছালাপাকের বাসিন্দা আতিকুর জানালেন, সেখানেও শীতের আগমনী বার্তা বইছে। শীতকালীন সব্জি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা।
শীত পুরোদমে আসতে এখনও দুই মাস বাকি। এরপরেও গরম পোসাক ব্যবসায়ীরা আগাম পোসাক মজুত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে । স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংগ্রহে এনজিওদের দ্বারস্থ হয়েছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী ও এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়।