রংপুরে অবৈধ দখলদারের হাত থেকে জমি ফেরত পেতে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সামিউল হোসেন। সামিউল মহানগরীর কামাল কাছনা মহল্লার বাসিন্দা।
অভিযোগে জানা যায়, সামিউলের মামা আব্দুল গফুর রংপুর মহানগরীর ধাপ লালকুঠি এলাকায় সাত শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি – ঘর নির্মাণ পূর্বক বসবাস করতে থাকেন। এরপর,আব্দুল গফুরের ছেলে – মেয়েরা চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় থাকতে শুরু করলে এক পর্যায়ে বাড়িটি ফাঁকা হয়। তারপর, তিনি তাঁর বাড়িটি দেখা শুনার জন্য বাদল শিং কে থাকতে দেয়।
পরর্বতীতে বাদল শিং কে উক্ত সম্পত্তি ছাড়তে বলা হলে বাদল শিং সহ তার ছেলেরা নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করেন। পরর্বতীতে আব্দুল গফুর বাদল শিং গংদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত বিচারকার্য শেষে ২০০৫ সালে আব্দুল গফুর কে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়।
তারপর, ২০০৬ সালে আব্দুল গফুর মৃত্যু বরণ করার পর উক্ত সম্পত্তির বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বিবাদিরা যোগসাজশে জোর পূর্বক পুণ:রায় উক্ত বাসায় উঠে।
বিষয়টি পরবর্তীতে সামিউলের মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম কাজল,আবিদা সুলতানা ও আরিফা সুলতানা জানতে পেরে উক্ত পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি সামিউল কে অপত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।
এরপর, উক্ত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের ছেড়ে দিতে বললে জীবন নাশের হুমকি দেন। সেই সাথে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে ওই সম্পত্তি ছেড়ে দিবেন বলে তারা সাফ জানিয়ে দেয়।
এছাড়াও উক্ত জমিতে একাধিকবার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলে তা রাতের আধারে সরিয়ে ফেলেন। এবং তাদের বাড়ির মহিলা দিয়ে সামিউলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার হুমকি দেন। এজন্য সামিউল বাদি হয়ে সাত জনকে অভিযুক্ত করে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- জিতু শিং (৫০), নতুন শিং (৪৫), রতন শিং (৪২), রঞ্চন শিং (৪৮), রাজেন শিং (৪৬), সুমন শিং (৪২) ও নরেন্দ্র নারায়ণ ভুলু।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিতু শিং ও রঞ্চন শিং জানান, এটি ১নং খাস খতিয়ানের সম্পত্তি। ডিসির অনুমতিক্রমে এখানে বসবাস করছি।কিন্তু তারা জমির কোন কাগজ অথবা ডিসি মহোদয়ের অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি।