গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে সোমবার ৭ম দিনের মত ফের আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। উত্তেজিত শ্রমিক দল মহাসড়কে চলাচলকারী একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে রাসেল হাওলাদার নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের গুলিতে ওই শ্রমিক মারা গেছেন। তবে পুলিশ বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা ৭মদিনের মতো সোমবারও গাজীপুরে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে ভোগড়া বাইপাসের আশপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। এসময় তারা কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ সময় উত্তেজিত একদল শ্রমিক একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে রাসেল হাওলাদার নামে এক পোশাক শ্রমিক আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাসেল হাওলাদার ঝালকাঠি জেলার বিনাইকাঠি গ্রামের হান্নান হাওলাদারের ছেলে। তিনি কলম্বিয়া এলাকার নূর আলমের বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে ডিজাইন এক্সপ্রেস কারখানার ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি) ইব্রাহীম খান বলেন, রাসেল হাওলাদার নামে ওই শ্রমিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন।
দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সূত্র – ঢাকা মেইল।