কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গৃহবধূর মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি সহ পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম।
এঘটনায় নিহত গৃহবধূর চাচা নাসির আলী রবিবার বিকেলে বাদী হয়ে স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি কে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধূর নাম মোছাঃ মৌসুমী খাতুন(২৫)। তিনি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পৃর্ব ধনিরাম গ্রামের মোঃ মনছুর আলীর মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে একই ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আশেক আলীর (২৮)সাথে ভালবেসে বিয়ে হয় মৌসুমীর মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মনছুর আলী বিয়ের সময় জামাইকে এক লক্ষ্যে টাকা যৌতুক দেন কিন্তূ লোভী জামাই আশেক আলী বাবা মায়ের পরামর্শে প্রায় দিনেই স্ত্রী মৌসুমী কে বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিলে মৌসুমী অস্বীকৃতি জানায়। তারপর শুরু হয় তার উপর শারীরিক নির্যাতন সহ অমানবিক নির্যাতন।
৮(আগষ্ট) রাতে তাকে আবারো বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেন বরাবরের মতো সে অস্বীকৃতি জানায় এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আশেক আলী মৌসুমী কে বেদম মারধর করে এক পর্যায়ে মৌসুমী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই খবর পেয়ে মৌসুমীর নানা জহুরুল ইসলাম,ছোট নানা জাহেদুল ইসলাম ও চাচা নাসির আলী গুরুত্বর আহত অবস্থায় মৌসুমী কে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ১১(আগষ্ট) পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তাকে লালমনিরহাট জেলা সদরে নেওয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ১২(আগষ্ট) বিকেল পাঁচটায় আবারো তাকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত তিনটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মৌসুমী বেগম।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান,এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর চাচা নাসির আলী বাদী হয়ে স্বামী আশেক আলী সহ তিন জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিকেলে কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা- মোস্তাফিজার বাবলু।