ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত কালুরঘাট সেতুটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। নির্মাণের পর একাধিক বার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সর্বশেষ ম্যাক্স কোম্পানীর মাধ্যমে বুয়েটের তত্ত্বাবধানে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল উপযোগী করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে সেতুতে।
ইতিমধ্যে সংস্কার কাজের ৮০% কাজ শেষ করে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চালু করা হয়েছে। সেতুতে সেতুতে ঢালাইয়ের কাজ ও জনসাধারণ চলাচলেল `ওয়াক ওয়ে‘ তে ঢালাই এবং রেলিং এর কাজ সম্পন্ন হলেই সেতুটি যানবাহন এবং জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রতিদিন দুইটি ট্রেন কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া করছে। কিছুদিনের মধ্যে চাঁদপুর থেকে একটি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে কক্সবাজার। ব্রিজের পুরোপুরি শেষ হলে ১১ জোড়া অথ্যাত ২২টি ট্রেন নিয়মিত কক্সবাজার রুটে চলাচল করবে কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে-এমন তথ্য জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
সেতুর সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ হলে সেতুর উপর দিয়ে আগের মতো নিয়মিত চলাচল করবে যানবাহন।
তবে, সেতুর উপর রেললাইন থাকায় এবং সেতুটি একমুখী হওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নতুন করে সেতুর একপাশে ৬ফুট প্রস্থ `ওয়াক ওয়ে‘ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী দুই-আড়াই মাসের মধ্যে যানবাহনের জন্য সেতু ও জনসাধারণ চলাচলের জন্য `ওয়াক ওয়ে‘ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে সেতু সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকায় ফেরী দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও জনসাধারণ। সেতুটি যানবাহন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে ফেরীর নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ-এমনটি জানিয়েছেন চলাচলরত যাত্রী সাধারণ।