লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী খাইরুল ইসলাম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২ মার্চ) ভুক্তভোগী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত জয়নালের পুত্র খাইরুল ইসলাম (৩৫), মেহের চাঁদ (৩৮), আকরামুল হক (২৭), জয়নাল (পচা) এর পুত্র নাল্টু (২২), মৃত জয়নালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০), জয়নাল (পচা) এর স্ত্রী গোলে (৪২), খাইরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম (৩০), মেহের চাঁদের স্ত্রী শিউলী বেগম (৩৩)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে দইখাওয়া বাজার হতে খাদিমুল বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো এসময় অভিযুক্ত খাইরুল ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত বাঁশের লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোঁড়া ও কুড়াল নিয়ে পথরোধ করেন খাদিমুলের।
এমতাবস্থায় তারা চিল্লাচিল্লি শুরু করলে উভয় পক্ষের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় ঘটনাস্থলে খাদিমুলের পিতা আমজাদ হোসেন (৫৫), চাচি নাছিমা বেগম (৪০), ফুফু জাহানারা বেগম (৫২), মৃত আঃ সোবাহানের স্ত্রী মমিনা বেগম (৫৫) উপস্থিত হলে খাইরুল ইসলামের হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে এবং নাছিমা বেগম, জাহানারা বেগম ও মমিনা বেগমকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায় অভিযুক্তরা।
পরে তাদের আত্ম চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে আমজাদ হোসেন ও খাদিমুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও আসামী পক্ষের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
হাতীবান্ধা থানার তদন্ত ওসি নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অব্যাহত আছে। দ্রুত আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।