কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে ক্রেতার অবৈধ দাবি উপেক্ষা করায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ২ পেঁয়াজ চাষী। এ ঘটনায় কৃষ্ণপুর পাইক পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ওসমান আলী মন্ডলের পুত্র সোলেমান আলী নিজে বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে গত ১৩/০৪/২০২৪ইং তারিখ সোলেমান আলী, বাদীর চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম ও মিলন মিয়া তাদের চাষকৃত পেঁয়াজ যাত্রাপুর হাটে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে। যাত্রাপুর বাজারের পূর্ব পার্শ্বে পেঁয়াজ হাটিতে পেঁয়াজ বিক্রি করাকালে দুপুরে দিকে রৌমারী থানা এলাকার অজ্ঞাত নামা একজন পেঁয়াজ পাইকার উক্ত পেঁয়াজ চাষীদের কাছ থেকে ৩০ মণ পেঁয়াজের মধ্যে ১৫ মণ পেঁয়াজের দর দাম করে পেঁয়াজ মেপে নেয়। যার মধ্যে ১৫ মণ পেঁয়াজের দাম দিয়ে ১৫ কেজি পেঁয়াজ অতিরিক্ত নেয়ার দাবি করে। এ সময় পেঁয়াজ চাষী উক্ত অতিরিক্ত পেঁয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পেঁয়াজ চাষীর সাথে পেঁয়াজের পাইকারের বাক-বিতন্ডা হয়। এ সময় যাত্রাপুর হাটের অভিযুক্ত বিবাদী (১) রাসেল মিয়া, (২) তুহিন মিয়া, (৩) আল আমিন, (৪) আজিজুল ইসলাম (৫) সুমন মিয়া (৬) ওসমান মিয়া (৭) মাহাবুব মিয়া (৮) আজগর মিয়া অতর্কিত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পেঁয়াজ ক্রেতার পক্ষ নিয়ে পেঁয়াজ চাষীকে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় পেঁয়াজ চাষীরা উক্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে বিবাদীরা অতর্কিত পেঁয়াজ চাষীদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহত পেঁয়াজ চাষী মিলনের লুঙ্গির পেচে রক্ষিত ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নেয় এবং যাত্রাপুর হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসা ২৪ বস্তা পেঁয়াজ চুরি করে নেয়। গুরুতর আহত পেঁয়াজ চাষী নজরুল ইসলাম ও মিলন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সোলেমান আলী নিজে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে।