শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
Title :
হাতীবান্ধায় অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ> ৭১বার্তা বেরোবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত>৭১বার্তা এবার কন্যা সন্তানের মা হলেন পরীমনি> ৭১বার্তা মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি দেওয়া সেই প্রার্থী হেরেছেন  > ৭১বার্তা নাগেশ্বরীতে অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় ৭ বস্তা ডাল আটক> ৭১বার্তা কুড়িগ্রামে সরকারিভাবে ধান, চাল, গম ক্রয়ের উদ্বোধন> ৭১বার্তা সুন্দরগঞ্জে ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার বিতরণ> ৭১বার্তা রংপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের হেল্প ডেস্কের উদ্বোধন > ৭১বার্তা ফুলবাড়ীতে মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা, ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ২> ৭১বার্তা নির্বাচনে অংশ নিতে রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ> ৭১বার্তা

ঢাকার কিছু এলাকায় পানি ও গ্যাসের তীব্র সংকট> ৭১বার্তা

মোস্তাফিজার বাবলু
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৪ বার পঠিত

 

পানির সংকটে থাকা এলাকাগুলো হলো মোহাম্মদপুর, আদাবর, মনসুরাবাদ, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ ও গুলবাগ। গ্যাসের সংকটে আছেন মুগদা, মান্ডা ও মানিকনগর এলাকার বাসিন্দারা। একদিকে গরম পড়তে শুরু করেছে, অন্যদিকে চলছে পবিত্র রমজান মাস। এর মধ্যে গ্যাস ও পানির সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ। ইউএনবি

ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের এলাকায় পানির সংকট এতটাই প্রকট যে তিন দিন অন্তর ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ লাইনে পানি আসে।

মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা রুমানা রামাহমান বলেন, কয়েকদিন পর পর পানি এলেও তার সঙ্গে  আসে বালু।

তিনি জানান, তারা একাধিকবার ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ  দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সমস্যা সমাধান হয়নি।

আরেক ভুক্তভোগী শেওড়াপাড়ার মনিরুজ্জামান বলেন, ওয়াসার লাইনে পানি সরবরাহ না হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন মেটাতে বিকল্প উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয়।

মাঝেমধ্যে আমরা মধ্যরাতে ওয়াসার লাইন থেকে পানি পাই, তবে খুব কম চাপে।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ও অ্যান্ড এম) প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিন সমস্যার কথা স্বীকার করেন।

তবে ভোক্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ওই সব এলাকায় কিছু পাম্প অকেজো হয়ে গেছে। আমরা সেগুলোর কয়েকটি মেরামত করেছি এবং অন্যগুলো প্রতিস্থাপন করেছি। এখন সেখানে পানির কোনো সমস্যা নেই।

প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিন আরও বলেন, মাঝে মাঝে কিছু গ্রাহক গণমাধ্যমের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় না। অনেক সময় নিজেদের বাড়ির পাম্প নষ্ট হয়ে গেলেও ওয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।

ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা শহরে পানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি নেই। বরং পানির চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা বেশি।

ঢাকা ওয়াসার তথ্য বলছে, বর্তমানে ঢাকা শহরে প্রতিদিন পানির চাহিদা ২৬০ কোটি লিটার এবং ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা ২৯০ কোটি লিটার।

কিন্তু যৌক্তিকভাবে পানি সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় কোনো এলাকার গভীর পানির পাম্প অকেজো হয়ে গেলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দেয়। এর মূল কারণ ভূগর্ভস্থ উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা।

গ্যাস সংকট সম্পর্কে মান্ডা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন জানান, দিনের বেশিরভাগ সময়ই ওই এলাকায় গ্যাস থাকে না।

তিনি বলেন, আমরা তিতাস পাইপলাইনে রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত গ্যাস পাই।

এই গ্যাস সংকট জাতীয় গ্রিডের সার্বিক ঘাটতির অংশ বলে স্বীকার করেছেন তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা।

তারা জানান, দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা প্রায় ২ হাজার ৬৬০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করতে পারে। ফলে  প্রতিদিন ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি। সূত্র- আমাদের সময় ডটকম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2023 71barta.com
Design & Development BY Hostitbd.Com