রোববার দুপুরে রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, প্রতিদিন নগরীতে ৩ টন করে চার ট্রাকে ১২ টন আলু খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। এরমধ্যে মহানগরীর কাচারিবাজার প্রধান ডাকঘর, জাহাজকোম্পানি মোড়, মুক্তিযোদ্ধা ভবন ও শাপলা চত্বরে স্থায়ীভাবে ট্রাকে করে আলু বিক্রি হবে। একটি ট্রাক ভ্রাম্যমাণ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি করবে।
এদিকে, খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে আলু কিনতে পেরে অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আলু কিনতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, বাজারে ৪৫-৫০ টাকা আলু কিনতে হচ্ছে। এখানে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারছি। তাতে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
রোকসানা খাতুন বলেন, বাজার চড়া দামে আলু কিনলেও ১ কেজি আলুতে ২-৩ টা পঁচা আলু পাওয়া যায়। এখানে ফ্রেশ আলু পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ টাকা দরে।রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বদিচ্ছা থেকে খোলাবাজারে ৩৫ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এটি কোল্ডস্টোরেজে যতদিন আলু থাকবে, ততদিন এইভাবে আলু বিক্রি করা হবে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, বাজারে আলুর অস্থিরতা রোধে ইতোমধ্যে কোল্ডস্টোরেজ মালিক ও ব্যবসায়ী এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। বাজারে আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরমধ্যে রংপুর জেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন খোলাবাজারে আলু বিক্রি হলে বাজারে আলুর চাহিদা কমবে, তখন দামও কমে আসবে। এসময় তিনি ন্যায্যমুল্যে খোলাবাজারে আলু বিক্রির জন্য রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।