শনিবার দুপুরে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অডিটরিয়ামে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজি এসএম রুহুল আমিন একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দারিদ্রের সাথে জঙ্গিবাদের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কেননা এক সময় উত্তরাঞ্চল তথা রংপুর বিভাগে দারিদ্রতা, আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। সেই সুযোগটা নিয়ে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছে। তবে শুধু রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলেই এখন বেশি জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ আছে তা নয়। বর্তমানে সারাদেশেই রয়েছে। বিশেষ করে দেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে রয়েছে।
অতিরিক্ত আইজি বলেন, বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গিরা খুব একটিভ আছে, সেখানে আমরা সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি এবং মনিটরিং করছি। সেই সাথে জনসাধারণের সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিবাদ দমন এবং নির্মুল করা সম্ভব না, এজন্যই জনসাধারণের সাথে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদ দমন ও নির্মুলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের মাধ্যমে সারাদেশের প্রত্যেকটি মেট্রোপলিটন ও জেলায় একটা করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট প্রধান ও তার সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। সেই প্রশিক্ষণ এই মাস থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ৩-৪ মাস। এরপর প্রশিক্ষিত ইউনিট প্রধানরা তাদের লব্ধজ্ঞান দিয়ে বিট পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ ও জনসাধারণের মাঝে জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চাই। এতে করে তৃণমুল পর্যায় সচেতনতা আরো বাড়বে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন বলেন, নির্বাচনের সাথে খুব একটা জঙ্গিবাদের সম্পর্ক আছে বলা যাবে না, তবে জঙ্গিরা সবসময় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে চায়। নির্বাচন নিয়ে যেহেতু আমাদের মাঝে অস্থিরতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠির মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, সেই সুযোগটা তারা নিতে পারে। এজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। আমাদের দেশে যারা জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করে সবাই মিলে আমরা একসাথে সমন্বয় করে কাজ করছি, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আমরা আশা করছি জঙ্গিরা বাংলাদেশের মাটিতে আর ঘাটি করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মনিরুজ্জামান।