রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে বুক-পেট জোড়া লাগা যমজ কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন লাবনী আক্তার (২২) নামে এক প্রসূতি। নবজাতকদের ঢাকায় চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা চেয়েছে পরিবারটি।
লাবনী আক্তার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকি গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী । বর্তমানে জমজ নবজাতক ও মা লাবনী আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিকেলে নবজাতকের পিতা আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আরিফুল ইসলামের সাথে ছয় বছর আগে লাবনী আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। সে পেশায় রাজমিস্ত্রী। তাদের চার বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরিফুল ইসলাম জানান, গর্ভবতী হবার পর আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জমজ শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত হন তারা। পরবর্তিতে প্রসব ব্যথা শুরু হলে ২ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাবনীকে ভর্তি করা হয়। ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুর বারোটার দিকে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সারমিন সুলতানা লাকী অস্ত্রোপচার করেন। জন্মের পর দুই শিশুকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় চিকিৎসক বাচ্চাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারমিন সুলতানা লাকী বলেন, প্রসূতির আগের সন্তান সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। দ্বিতীয় সিজার ঝুকি থাকলেও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে তবে জমজ শিশুদের হার্ট ও লিভার একটাই। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সাপোর্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। তাদের শ্বাসকষ্ট আছে। এজন্য নবজাতকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা না থাকায় নিয়ে যেতে পারেননি। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে দুই নবজাতককে শিশু ওয়ার্ডের শেখ রাসেল স্পেশাল নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু) বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।