শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
Title :
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত>৭১বার্তা বেরোবির একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উমর ফারুক> ৭১বার্তা কুড়িগ্রামে আবিষ্কৃত টেলিস্কোপ দেখতে মানুষের ভিড়> ৭১বার্তা লিবিয়াতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত> ৭১বার্তা কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু> ৭১বার্তা ফুলবাড়ীতে অবহিতকরণ কর্মশালা> ৭১বার্তা চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের তীরে অষ্টমী স্নানে লাখো হিন্দু সম্প্রদায়ের ঢল > ৭১বার্তা বাস-পিকআপে সংঘর্ষে ফরিদপুরে ১১জন নিহত> ৭১বার্তা লিবিয়াতে বৈশাখী উৎসব পালিত > ৭১বার্তা লঞ্চের ধাক্কায় সদরঘাটে পাঁচ জনের মৃত্যু > ৭১বার্তা

লিবিয়াতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত-৭১বার্তা

ওয়াসিম কামাল, লিবিয়া প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৯ বার পঠিত

 

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়াতে যথাযথ মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্যায়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত করেন।

এরপর শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকল স্তরের প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের কার্যকরী পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লাব এবং উপস্থিত প্রবাসীদের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্যায়ে দিবসটির প্রেক্ষাপট ও মাতৃভাষার জন্য বাঙালির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ তুলে ধরে চিত্র ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ লিবিয়ার সরকারের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং লিবিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, চার্জ দ্যা অয়াফেয়ার্স ও কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইওএম এবং আইসিআরসি লিবিয়ার মিশন প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিবর্গকে সাথে নিয়ে চিত্র ও বই প্রদর্শনী ঘুরে দেখান। প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ মাতৃভাষার জন্য বাংঙালির সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও বিসর্জন দেখে অভিভূত হন। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উপস্থিত অতিথিগণ নির্ধারিত বোর্ডে নিজ নিজ মাতৃভাষায় বার্তা লিখে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এরপর তাঁরা দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও প্রদর্শনীতে ত্রিপলীতে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরের প্রবাসীগণ সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস আয়োজিত চিত্র ও বই প্রদর্শনীতে ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপট, ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বংঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পৃক্ততা ও অবদান, ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান ও ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি, শহিদ মিনারের পরিচয় এবং বাংলাদেশের নিজস্ব ভাষা সমূহের পরিচয় স্থান পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম, প্রতিরোধ, শাসক শ্রেণির বাধা, ভাষা শহিদদের আত্মোৎসর্গ, শহিদ মিনার, প্রভাত ফেরি, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা এবং বইমেলা তুলে ধরেন। এতে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অগ্রযাত্রা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় লিখিত বই ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। সার্বিকভাবে প্রদর্শনীটি ইতিহাসপ্রেমী ও নতুন প্রজন্মের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে দূতাবাসের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দিবসটি উপলক্ষ্যে মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে সকল ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে, আমাদের জন্য এটি গর্ব ও অহংকারের। তিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে সকলকে কাজ করার আহবান জানান। মান্যবর রাষ্ট্রদূত বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে বাংলা ভাষাকে আত্মস্থ করার অনুরোধ জানান।

এরপর ভাষা আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2023 71barta.com
Design & Development BY Hostitbd.Com