শীতের সকালে দীপার ফোন পেয়ে রাজ বলছে এতদিন পরে মনে পড়লো! মনে আছে, তোমার ফোন নম্বরটা গতকাল পেলাম,তোমার কথা আজও মনে পড়ে, যখন কমলাপুর রেলস্টেশনে যাই ফুলবাগানে গোলাপ ফুলের কুঁড়ি দিয়ে তৈরি মালা বানিয়ে আমাকে দিয়ে ভালোবাসার আবগাহন করেছিলে প্রতি মাসে প্রথম শনিবারে।আছে মনে! তোমার ছেলে মেয়ে কয়জন? আমার বলতে আমাদের সন্তান দু’জন, বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে আর ছোট কেজিতে পড়ছে। তোমার শরীর কেমন আছে? আমার জীবনটা শুধু ভুলে ভরা, যাকে মনে প্রাণে ভালোবাসি সে আর শেষে থাকে না।
দীপা দেখতে অপরুপ সুন্দরী, গায়ের রং ফর্সা,চোখ দু’টো নীলাভ, পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি লম্বা, দু’হাতের কুনুই লোমে ভর্তি ও মিস্টি হাসোজ্জ্বল অবয়ব।
পাটের বাকের মাঠের বটের ছায়ায়, শনিআকড়া,যাত্রাবাড়ি ,ঢাকায় এক বৃষ্টি ভেজা বিকালে দীপার প্রথম সাক্ষাতে রজনীগন্ধার ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় রাজ এবং দীপা হাত স্পর্শ ও একটি ডায়েরি উপহার দিলে রাজ গ্রহণ করে।
রাজ বিএসসি পাশ করে ঢাকায় চাকরি খুঁজে আর আহমেদ বাগ,বৌদ্ধ মন্দির রোডে একটি পাঁচ তলা বাসার নিচতলায় ভাড়াবাসায় পাঁচ বন্ধু সহ থাকে।
রাজকে দেখতে শ্যামবর্ণ,উচ্চতায় পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি, বাচনভঙ্গি, শব্দ উচ্চারণে সুললিত কন্ঠ। —-(চলবে)